৮২ নং সূরা ইনফিতার বা সুরা আল ইনফিতার (অর্থ, নামকরণ, শানে নুযূল, বিষয়বস্তু, পটভূমি) | সূরা ইনফিতার এর শানে নুযুল | surah infitar bangla- surah al infitar bangla

আসসালামু আলাইকুম! সবাই কেমন আছেন? আশা করি, ভাল আছেন। প্রিয় পাঠক-পাঠিকা! পবিত্র কুরআনুল কারীমের ৮২ নং সূরা ইনফিতার বা সুরা আল ইনফিতার সম্পর্কে আজকের পোস্টে আলোচনা করা হবে।

আশা করি আজকের পোস্ট এর মাধ্যমে ৮২ নং সূরা ইনফিতার বা সুরা আল ইনফিতার (অর্থ, নামকরণ, শানে নুযূল, বিষয়বস্তু, পটভূমি)  | সূরা ইনফিতার এর শানে নুযুল  |  surah infitar bangla- surah al infitar bangla সম্পর্কে জানতে পারবেন। দয়া করে পুরো পোস্টটি পড়ার অনুরোধ রইল। 
৮২ নং সূরা ইনফিতার বা সুরা আল ইনফিতার (অর্থ, নামকরণ, শানে নুযূল, বিষয়বস্তু, পটভূমি)  | সূরা ইনফিতার এর নামকরণ  |  surah infitar bangla- surah al infitar bangla

৮২ নং সূরা ইনফিতার বা সুরা আল ইনফিতার

সূরা ইনফিতার হলো কোরআনুল কারীমের ৮২ নং সূরা। সূরা ইনফিতার এর পূর্বের সূরা তাকভীর আর পরবর্তী সূরা  মুতাফফিফীন। আয়াত সংখ্যা ১৯ টি। কোন রুকু সংখ্যা নাই। মক্কায় অবতীর্ণ হয়। 

সূরা ইনফিতার এর নামকরণ

প্রথম আয়াতের শব্দ انفطرت থেকেই এর নামকরণ করা হয়েছে। এর মূলে রয়েছে ইনফিতার , انفطار অর্থাৎ ফেটে যাওয়া। এ নামকরণের কারণ হচ্ছে এই যে, এ সূরায় আকাশের ফেটে যাওয়ার কথা আলোচনা করা হয়েছে।

সূরা ইনফিতার এর শানে নুযুল

এই সূরার ও সূরা আত্ তাকভীরের বিষয়বস্তুর মধ্যে গভীর মিল দেখা যায়। এর থেকে বুঝা যায় যে, সূরা দুইটি প্রায় একই সময়ে অবতীর্ণ বা নাযিল হয়েছে।

সূরা ইনফিতার এর বিষয়বস্তু ও মূল বক্তব্য

এর বিষয়বস্তু হচ্ছে আখেরাত। মুসনাদে আহমাদ, তিরমিযী, ইবনুল মানার, তাবারানী, হাকেম ও ইবনে মারদুইয়া কিতাবে হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা) একটি বর্ণনা হয়েছে। তাতে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন : من سره أن ينظر إلى يوم القيامة كأنه رائ عين فليقرا اذا الشمس كورت ، وإذا السماء انفطرت ، وإذا السماء انشقت
অর্থঃ “যে ব্যক্তি কিয়ামতের দিনটি নিজের চোখ দ্বারা দেখতে চায়, সে যেন সূরা তাকভীর, সূরা ইনফিতার ও সূরা ইনশিকাক পড়ে।”

এখানে প্রথমে কিয়ামতের দিনের ছবি তুলে ধরা হয়েছে। বলা হয়েছে, প্রত্যেক ব্যক্তি দুনিয়ায় যাকিছু করেছে কিয়ামতের দিন তা সবই তার সামনে উপস্থিত হবে। তারপর মানুষের মনে অনুভূতি জাগানো হয়েছে, যে সৃষ্টিকর্তা তোমাকে অস্তিত্ব দান করলেন এবং যাঁর অনুগ্রহে তুমি আজ সমস্ত সৃষ্ট জীবের মধ্যে সবচেয়ে ভালো শরীর ও অংগ-প্রত্যংগ সহকারে বিচরণ করছো, তিনি কেবল অনুগ্রহকারী ইনসাফকার নন, তাঁর সম্পর্কে তোমার মনে কে এই প্রতারণার জাল বিস্তার করলো? তাঁর অনুগ্রহের অর্থ এ নয় যে, তুমি তাঁর ন্যায়নিষ্ঠ ব্যবহার ও বিচারের ভয় করবে না। তারপর মানুষকে সাবধান করে দেয়া হয়েছে, তুমি কোন ভুল ধারণা নিয়ে বসে থেকো না। তোমার পুরো আমলনামা তৈরী করা হচ্ছে।

অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য লেখকরা সবসময় তোমার সমস্ত কথাবার্তা, ওঠাবসা, চলাফেরা ও যাবতীয় কাজকর্ম লিখে চলছেন। সবশেষে পূর্ণ দৃঢ়তা সহকারে বলা হয়েছে, অবশ্যিই একদিন কিয়ামত হবে। সেদিন নেক্কার লোকেরা জান্নাতে সুখের জীবন লাভ করবে এবং পাপীরা জাহান্নামের আযাব ভোগ করবে। সেদিন কেউ কারোর কোন কাজে লাগবে না। বিচার ও ফায়সালাকারী সেদিন হবেন একমাত্র আল্লাহ

Tag: ৮২ নং সূরা ইনফিতার বা সুরা আল ইনফিতার (অর্থ, নামকরণ, শানে নুযূল, বিষয়বস্তু, পটভূমি), সূরা ইনফিতার এর নামকরণ, surah infitar bangla, surah al infitar bangla
Next Post Previous Post