দরুদে তুনাজ্জিনা ফজিলত | দরূদে তুনাজ্জিনা | দরুদ শরীফ | দূরুদ শরীফ

দরুদে তুনাজ্জিনা ফজিলত | দরূদে তুনাজ্জিনা | দরুদ শরীফ | দূরুদ শরীফ

দরুদে তুনাজ্জিনা ফজিলত | দরূদে তুনাজ্জিনা | দরুদ শরীফ | দূরুদ শরীফ

দরুদে তুনাজ্জিনা ফজিলত | দরূদে তুনাজ্জিনা | দরুদ শরীফ | দূরুদ শরীফ


দরূদে তুনাজ্জিনা নামকরণ:

এ দরূদ শরীফের প্রথম বাক্যে তুনাজ্জীনা শব্দ আছে বিধায় নামকরণ হয়েছে দরূদে তুনাজ্জীনা।


দরূদে তুনাজ্জিনা আরবি:

اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَليٰ سَيِّدِنَا مَوْلَانَا مُحَمَّدٍ وَعَليٰ اٰلِ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ صَلوٰةً تُنَجِّيْنَا بِهَا مِنْ جَمِيْعِ الْأَهْوَالِ وَاْلآفَاتِ وَتَقْضِيْ لَنَا بِهَا مِنْ جَمِيْعِ الْحَاجَاتِ وَتُطَهِّرُنَا بِهَا مِنْ جَمِيْعِ السَّيِّاٰتِ وَتَرْفَعُنَا بِهَا عِنْدَكَ اَعْليٰ الدَّرَجَاتِ وَتُبَلِّغُنَا بِهَا اَقْصىٰ الْغَايَاتِ مِنْ جَمِيْعِ الْخَيْرَاتِ فِي الْحَيَاتِ وَبَعْدَ الْمَمَاتِ- اِنَّكَ عَليٰ كُلِّ شَيْئٍ قَدِيْرٍ بِرَحْمَتِكَ يَا اَرْحَمَ الرَّاحِمِيْنَ-

দরূদে তুনাজ্জিনা বাংলা উচ্চারণ:

আল্লাহুম্মা ছাল্লি আলা সয়্যিদিনা মাওলানা মুহাম্মাদিন ওয়ালা আ-লি সয়্যিদিনা মাওলানা মুহাম্মাদিন সালাতান তুনাজ্জিনা বিহা মিন জামীয়িল আহ্ওয়ালি ওয়াল আফাত, ওয়া ত্বাক্দি লানা মিন জামীয়িল হাজাত। ওয়া তুতাহ্হিনরুনা বিহা মিন জামীয়িস্ সাইয়্যিআত। ওয়া তারফউনা বিহা ইন্দাকা আ’লাদ্দারাজাত। ওয়া তুবাল্লিগুনা বিহা আকসাল গায়াত মিন জামীয়িল খাইরাত ফিল হয়াতি ওয়া বা’দাল মামাত। ইন্নাকা আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বাদীর; বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রহিমীন।


দরূদে তুনাজ্জিনা অর্থ:

হে আল্লাহ! পূর্ণ রহমত দান করুন আমাদের সরদার হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও তার বংশধরদের উপর, এমন দরুদ ও সালাম, এমন রহমত ও শান্তি প্রেরণ করুন যা আমাদেরকে যাবতীয় বালা মুসিবত ও প্রতিকূল অবস্থা থেকে রক্ষা করবে। যা আমাদের যাবতীয় প্রয়োজনকে মিটিয়ে দিবে। যা আমাদেরকে সমস্ত গুনাহ থেকে পবিত্র করে দিবে এবং আমাদেরকে সুউচ্চ মর্যাদা ও আপনার নৈকট্য লাভ করতে সাহায্য করবে। এবং আমাদেরকে দুনিয়া ও আখেরাতের সমস্ত কল্যাণের চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে দিবে। নিশ্চয়ই, আপনি সকল বিষয়ের উপর ক্ষমতাবান।

দরূদে তুনাজ্জীনার ফজীলত:

রওজাতুল আহবাব, তাফসীরে রুহুল বয়ান ও মানাহেজুল কিতাবে আছে, হযরত মুসা জারীর (রহঃ) নামক একজন প্রসিদ্ধ অলী তার ব্যক্তিগত একটি ঘটনা বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, আমি একবার জাহাজে আরােহন করে ভ্রমণে বের হয়েছিলাম। সমূদ্রের ভীষণ তরঙ্গে জাহাজখানি নিমজ্জিত হওয়ার উপক্রম হলাে। আমি তখন সামান্য তন্দ্রাবস্থায় ছিলাম। এহেন অবস্থায় মহানবী সা: আমাকে এক হাজার বার দরূদে তুনাজজীনা পাঠ করার তা'লীম দিলেন। আমি জাগ্রত হয়ে মাত্র তিনশত বার এ দরূদ শরীফ পাঠ করার পরই জাহাজটি বিপদ হতে রক্ষা পায়।


দরূদে তুনাজ্জীনার আমল:

১. পাক সাফ স্থানে বসে ১হাজার বার পাঠ করলে গুরুতর মোকাদ্দামায় ও আশ্চর্য সুফল পাওয়া যায়।

২. প্রত্যহ ফজর ও মাগরিবের পর ১১বার এই দুরূদ শরীফ পাঠ করলে কখনো চাকরি যাবেনা ও রিযিক বন্ধ হবেনা।

৩. এই দুরূদ শরীফ ৩বার টাঠ করে ১মুষ্টি মাটির উপর ৩বার ফুঁক দিয়ে কবরের উপর ছিটিয়ে দিলে শিয়াল কুকুর দ্বারা ঐ কবরের লাশ নষ্ট হবেনা।


Next Post Previous Post