মহরমের ফজিলত | মহরমের রোজা- আশুরা রোজার ফজিলত | মহরমের রোজার ফজিলত
আসসালামু আলাইকুম! সবাই কেমন আছেন? আশা করি, ভাল আছেন। প্রিয় পাঠক-পাঠিকা! আজকের পোষ্টে আপনারা জানতে পারবেন, মহরমের ফজিলত | মহরমের রোজা- আশুরা রোজার ফজিলত | মহরমের রোজার ফজিলত / আশুরার রোজা
মহরমের ফজিলত | মহরমের রোজা | আশুরার রোজা
হিজরি সালের ১২টি মাসের মধ্যে চারটি হারাম মাস। যিলকদ, যিলহজ্ব, মোহররম ও রজব। শুরু হারাম মাস মোহররম ও শেষ হারাম মাস যিলহজ্ব এবং মধ্যখানে হারাম মাস রজব। আরবরা মোহররম মাসকে “স্বফরুল আওয়াল” তথা প্রথম সফর নাম রেখে যুদ্ধকে তাদের ইচ্ছামত হালাল ও হারাম করতো। আল্লাহ তা'য়ালা ইহা বাতিল করে দিয়ে তার ইসলামি নামকরণ করলেন আল-মুহাররাম। তাই গুরুত্বের জন্য মোহররম মাসকে “শাহরুল্লাাহিল।মুহাররাম” তথা আল্লাহর মোহররম মাস বলা হয়েছে।
আশুরার দিন নি:সন্দেহে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন।।এ দিন আমাদেরকে এক ঐতিহাসিক ঘটনার কথা স্মরণ করিয়ে দেয় । দ্বীন হেফাজতের উদ্দেশ্যে হিজরত ও হক প্রতিষ্ঠার জন্য এক মহান দিন। আর এ জন্যই দিনটিকে বিশেষ এক ইবাদত-।রোজার সাথে স্মরণ করা প্রতিটি মুসলিমের উচিত। একাধিক সহীহ হাদীস দ্বারা সুস্পষ্ট যে, মূসা [আঃ] ও তাঁর জাতি বনি ইসরাঈল ফেরাউনের অন্যায়-অত্যাচার, নিষ্পেষণের জাঁতাকল ও গোলামী থেকে মিশর ছেড়ে সাগর পার হয়ে এ দিনে নাজাত পেয়েছিলেন। তাই আল্লাহর শুকরিয়া ও কৃতজ্ঞার্থে এ দিনে রোজা রেখেছিলেন এবং পরবর্তী সময়ে বনি ইসরাঈলরাও রোজা রাখত।
আশুরার দিন নি:সন্দেহে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন।।এ দিন আমাদেরকে এক ঐতিহাসিক ঘটনার কথা স্মরণ করিয়ে দেয় । দ্বীন হেফাজতের উদ্দেশ্যে হিজরত ও হক প্রতিষ্ঠার জন্য এক মহান দিন। আর এ জন্যই দিনটিকে বিশেষ এক ইবাদত-।রোজার সাথে স্মরণ করা প্রতিটি মুসলিমের উচিত। একাধিক সহীহ হাদীস দ্বারা সুস্পষ্ট যে, মূসা [আঃ] ও তাঁর জাতি বনি ইসরাঈল ফেরাউনের অন্যায়-অত্যাচার, নিষ্পেষণের জাঁতাকল ও গোলামী থেকে মিশর ছেড়ে সাগর পার হয়ে এ দিনে নাজাত পেয়েছিলেন। তাই আল্লাহর শুকরিয়া ও কৃতজ্ঞার্থে এ দিনে রোজা রেখেছিলেন এবং পরবর্তী সময়ে বনি ইসরাঈলরাও রোজা রাখত।
আশুরার রোজার ফজিলত | মহরমের রোজার ফজিলত
আশুরার অনেক ফজিলত রয়েছে। আশুরার দিনটিতে যে রোজা রাখবে, তারা যেন পূর্ণ একটি বছরে রোজা রাখল এবং অতি উত্তম প্রতিদান লাভ করতে সক্ষম হল। যে ব্যক্তি এ দিনে কোন উলঙ্গ কে কাপড় পরিধান করাবে, মহান আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামীন তাকে কঠিন আযাব থেকে পরিত্রাণ প্রদান করবেন। যে ব্যক্তি এ দিনে কোন অসুস্থ ব্যক্তিকে সেবা করবে, মহান আল্লাহ পাক তাকে মহান প্রতিদান দান করবেন। এ দিনে যে ব্যক্তি কোন এতিমের মাথায় হাত বুলাবে অথবা কোন অনাহারীকে অন্নদান করবে অথবা পানীয় পান করাবে, আল্লাহ পাক তার বিনিময়ে তাকে বেহেশতের খাঞ্জা হতে খানা খাওয়াবেন এবং তাকে সালসাবীলের পানিয় পান করাবেন।
হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত, হযরত রাসূলে করীম সাঃ মক্কা থেকে মদিনায় হিজরত সূত্রে আগমন করলেন। তখন তিনি সেখানকার ঈহুদীগণকে আশুরার দিন রোযা রাখতে দেখলেন। তিনি তাদেরকে জিজ্ঞেস করলেন, তোমরা এ দিনে রোজা রাখছো কেন? তারা উত্তরে বলল, এটা এক বিরাট সম্মানিত দিন! এদিনে আল্লাহপাক হযরত মুসা আঃ এবং তাঁর উম্মতকে নাজাত দিয়েছেন এবং ফেরাউন ও তার বাহিনী কে পানিতে ডুবিয়ে ধ্বংস করে দেন।
তাই হযরত মুসা আঃ উহার কৃতজ্ঞতাস্বরূপ এ দিনে রোযা পালন করেন বিধায় আমরা এই দিনে রোজা রাখি। এতদাশ্রবণে রাসূলে করীম সাঃ বললেন, হযরত মুসা আঃ এর নাজাতে কৃতজ্ঞতা আদায়ের ক্ষেত্রে আমরা তোমাদের চেয়ে বেশি উপযুক্ত ও অধিক হকদার। অতঃপর হযরত রাসূলে পাক সাঃ নিজেও আশুরার দিনে রোজা রাখেন এবং মুমিনদের রোজা রাখার হুকুম প্রদান করেন। (বোখারী ও মুসলিম শরীফ)
হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে আরো বর্ণিত আছে, তিনি বলেন যখন হযরত রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আশুরার রোজা রাখেন এবং সাহাবায়ে কেরামকে রোজা রাখার হুকুম প্রদান করেন। তখন তারা আরজ করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! এদিনটি এমন যে এ দিনের প্রতি ইয়াহুদী-খ্রিষ্টান জাতির লোকেরা সম্মান প্রদর্শন করে থাকে। অথচ আমরা তাদের বিরোধিতা করার জন্য আদিষ্ট। একথা শুনে হযরত রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু ইসলাম বলেন, আমি যদি আগামী বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকি তাহলে মহরমের ৯ তারিখে ও রোজা রাখব। (মুসলিম শরীফ)
হযরত আবু হুরায়রা রাঃ হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, রমজানের রোজার পর উৎকৃষ্ট রোজা মহররম মাসের আশুরার রোজা। (মুসলিম শরীফ)
আবু কাতাদা রাঃ হতে বর্ণিত, হযরত রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলেন, আশুরার রোজা পালনে আমি আল্লাহ পাকের দরবারে আশা করি যে তিনি আমার বিগত বছরের গুনাহ ক্ষমা করে দিবেন। (মুসলিম শরীফ)
হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ হতে বর্ণিত, রাসূলে করীম সাঃ বলেন তোমরা ৯ ও ১০ ই মহররমে রোজা পালন করে ইয়াহুদীদের বিরোধিতা কর। (তিরমিজি শরিফ)
অবশেষে বলা যায় যে আমাদের কর্তব্য হচ্ছে ৯ এবং ১০ই মহরম মাসে আশুরার রোজা পালন করা।
Tag: আশুরার রোজা কয়টি, আশুরার রোজা কয়টি facebook, আশুরার রোজা, আশুরার রোজার ফজিলত, আশুরার রোজা ২০২২, আশুরার রোজা সম্পর্কে হাদিস, আশুরার রোজা কবে, আশুরার রোজার নিয়ত, আশুরার রোজা ২০২২, আশুরার রোজা কবে ২০২২, মহরমের রোজা, মহরমের রোজা কয়টি, মহরমের রোজা কত তারিখে, মহরমের রোজা, মহরমের রোজা কত তারিখ ২০২২, মহরমের রোজা কত তারিখ, মহরমের রোজা ২০২২, মহরমের রোজা কবে, মহরমের রোজা রাখার নিয়ম, মহরমের রোজা কবে ২০২২, মহরমের রোজার ফজিলত