লোকমান হাকিমের উপদেশ | লোকমানের উপদেশ, লুকমান হাকিমের উপদেশ

আসসালামু আলাইকুম! সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আল্লাহর রহমতে ভাল আছেন। প্রিয় পাঠক-পাঠিকা! আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনুল কারীমে এমন এমন ব্যক্তিদের নাম উল্লেখ করেছেন যারা নবী-রাসূল নয়, তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন হযরত লোকমান আঃহযরত লোকমান আঃ ছিলেন আল্লাহ তাআলার একজন বান্দা। হযরত লোকমান আঃ তার ছেলেকে উপদেশ দিয়েছেন।
লোকমান হাকিমের উপদেশ | লোকমানের উপদেশ

লোকমান হাকিমের উপদেশ | লোকমানের উপদেশলুকমান হাকিমের উপদেশ


হযরত লোকমানের অমূল্য উপদেশ বাণী

লোকমান ছিলেন প্রাচীন কালের একজন মহাজ্ঞানী ব্যক্তি। তাঁর জ্ঞানগরিমার কথা আল্লাহপাক পবিত্র কোরআনেও উল্লেখ।করেছেন। তিনি নবী ছিলেন না আল্লাহর ওলী ছিলেন, এ ব্যাপারে।পান্ডিত্য এবং।গবেষকগণের মতভেদ থাকলেও তাঁর অসাধারণ।গ্রহণযোগ্যতা সম্পর্কে কারো কোন মতপার্থক্য নেই। মহাজ্ঞানী লোকমান প্রথম জীবনে অতি সাধারণ একজন মানুষৃছিলেন। পরিণত বয়সে তাঁকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল যে, কি করে।তিনি এত জ্ঞানের অধিকারী হলেন। জবাবে তিনি বলেছিলেন,।আমি মন্দ লোকদের ক্রিয়াকর্ম লক্ষ্য করেছি। আর সাধ্যমত ওদের।দুষ্কর্ম বর্জন করেছি। এভাবেই আমার মধ্যে জ্ঞানের উন্মেষ।ঘটেছে।

জীবনের শেষপ্রান্তে হযরত লোকমান স্বীয় সন্তানকে লক্ষ্য করে যে, একশত উপদেশ দিয়েছিলেন, সেগুলো হচ্ছে-
১। বৎস্য! আল্লাহর সান্নিধ্য অবলম্বন করবে।
২। অন্যকে উপদেশ দেওয়ার আগে নিজে আমল করার চেষ্টা কর।
৩। নিজের মান মর্যাদা বজায় রেখে কথা বলবে ।
৪। ভালমানুষ রূপে বিবেচিত হতে সচেষ্ট থাকবে।
৫। স্বীয় অধিকারের প্রতি সচেতন থাকবে।
৬। গোপন তথ্য কারো নিকট প্রকাশ করবে না।
৭। বিপদে বন্ধুর পরীক্ষা নেবে।
৮। বন্ধুদের ভালমন্দের উভয়টাই পরীক্ষা করবে।
৯। অবোধ এবং অজ্ঞ ব্যক্তিদের সংস্পর্শ থেকে দূরে থাকবে।
১০। বিচক্ষণ এবং জ্ঞানী ব্যক্তির সাথে বন্ধুত্ব করবে।
১১। ভালকাজে পুণঃপুনঃ অংশগ্রহণ করবে।
১২। নিজের কথা প্রমাণ করে দিবে।
১৩। বন্ধুদেরকে সাধ্যমত ভালবাসবে।
১৪। শত্রু-মিত্র সকলের সাথে হাসিমুখে সাক্ষাত করবে।
১৫। মাতা পিতাকে সর্বাধিক সম্মান করবে।

লোকমান হাকিমের উপদেশ বাণী

১৬। শিষ্যকে সর্বাধিক মর্যাদার দৃষ্টিতে দেখবে।
১৭। আয়ের প্রতি লক্ষ্য রেখে ব্যয় করবে।
১৮। প্রত্যেক কাজে মধ্যপন্থা অবলম্বন করবে।
১৯। বীরত্বকে নীতি হিসাবে গ্রহণ করবে।
২০। কথা বলার সময় মুখ আয়ত্বের মধ্যে রাখবে।
২১। শরীর এবং পোষাক পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখবে।
২২। ঐক্যবদ্ধ হয়ে থাকবে।
২৩। প্রচলিত অস্ত্র শস্ত্র এবং যানবাহন পরিচালনা শিখে নিবে।
২৪। প্রত্যেক ব্যক্তিকে তার যোগ্যতা অনুযায়ী দায়িত্ব প্রদান।করবে।
২৫। রাতের বেলায় যদি কথা বলার প্রয়োজন হয় তা হলে আস্তে।এবং নরম স্বরে কথা বলবে।
২৬। দিনের বেলায় কথা বলার সময় চতুর্দিক লক্ষ্য করে বলবে।
২৭। কম কথা বলা, কম খাওয়া এবং কম ঘুমানোর অভ্যাস করবে।

হযরত লোকমান হাকিমের উপদেশ

২৮। নিজের জন্য যা পছন্দ করনা তা অন্যের জন্য পছন্দ করবে
২৯। বিচক্ষণতা এবং কৌশল অবলম্বন করে কাজ করবে।
৩০। উপযুক্ত শিক্ষিত না হয়ে অন্যকে শিখাতে যেও না।
৩১। অন্যের ধন সম্পদের প্রতি লক্ষ্য করবে না।
৩২। নীতিহীনদের কাছ থেকে কৃতজ্ঞতা আশা করবে না।
৩৩। কোন কাজেই চিন্তামুক্ত হইও না।
৩৪। যে কাজ তুমি করনি এরুপ কাজকে করেছ বলে মনে করো না।
৩৫। আজকের কাজ আগামী কালের জন্য ফেলে রাখবে না।
৩৬। বয়োজ্যেষ্ঠদের সাথে হাসি-ঠাট্টা করতে যেও না ।
৩৭। বড়দের সামনে কথা দীর্ঘায়িত করবে না।
৩৮। তোমার প্রতি যারা আশা রাখে তাদেরকে নিরাশ করো না।
৩৯। অতীতের তিক্ততা মনে রেখো না।
৪০। নিজের ধনসম্পদের খবর অন্যের নিকট প্রকাশ করবে না।
৪১। আপনজনদের থেকে কখনও বিচ্ছিন্ন হইও না।
৪২। সৎ লোকদের নিন্দাবাদ করবে না।
৪৩। অহঙ্কার করবে না।
৪৪। মানুষের সামনে মুখে বা নাকে আঙ্গুল প্রবেশ করাবে না।

লুকমান হাকিমের উপদেশ

৪৫। মানুষের সামনে দাঁত খিলাল করবে না।
৪৬। শব্দ করে থুথু ফেলবে না।
৪৭। হাই তোলার সময় মুখে হাত রাখবে।
৪৮। তামাশা মূলক অবাস্তব কথা বলবে না।
৪৯। কাউকে জনসমক্ষে লজ্জা দিবে না।
৫০। চোখ ঠারে ইঙ্গিত করবে না।
৫১। এক কথা বারবার বলবে না।
৫২। ঠাট্টা-বিদ্রুপ থেকে বিরত থাকবে।
৫৩। অন্যের সামনে নিজের প্রশংসা করবে না।
৫৪। মেয়েদের ন্যায় সাজসজ্জা করবে না।
৫৫। কথা বলার সময় হাত নাড়া চাড়া করবে না।
৫৬। আপনজনদের শত্রুর সাথে উঠাবসা করবে না।
৫৭। কারো মৃত্যুর পর তার সম্পর্কে খারাপ মন্তব্য করবে না।
৫৮ । যথাসম্ভব ঝগড়া-বিবাদ থেকে বিরত থাকবে।
৫৯। সৎলোকদের প্রতি সু ধারনা রাখবে।
৬০। নিজের খানা অন্যের দস্তখানায় নিয়ে খাবে না।
৬১। কোন কাজেই তাড়াহুড়ো করবে না।
৬২। পার্থিব স্বার্থের মোহে নিজেকে দুঃখ কষ্টে ফেল না।
৬৩। রাগান্বিত অবস্থায়ও ধীর শান্ত ভাবে কথা বলবে।
৬৪। জামার আস্তীন দ্বারা নাক পরিস্কার করবে না।
৬৫। সূর্যোদয়ের পূর্বেই শয্যা ত্যাগ করবে।
৬৬। পথ চলতে বড়দের আগে চলবে না।
৬৭। অন্যের কথার মধ্যে বাধা দিয়ে কথা বলবে না।
৬৮। এদিক সেদিক উঁকি মেরে দেখবে না।
৬৯। মেহমানের সামনে কারো প্রতি রাগান্বিত হইও না।

Tag: লোকমান হাকিমের উপদেশ, লোকমানের উপদেশ, লুকমান হাকিমের উপদেশ
Next Post Previous Post