হজ সম্পর্কে কোরআনের আয়াত - হজ সম্পর্কিত আয়াত / hajj ayat in quran
আসসালামু আলাইকুম! সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আল্লাহর রহমতে ভাল আছেন। হজ হল আল্লাহ তায়ালার বড় একটি নিয়ামত। সামর্থ্যবান ব্যক্তির ওপর হজ করা ফরজ। কেননা হজ সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনুল কারিমে অনেক আয়াত অবতীর্ণ করেছেন। হজ সম্পর্কিত আয়াত, সম্পর্কে কোরআনের আয়াত / hajj ayat in quran
হজ সম্পর্কে কোরআনের আয়াত - হজ সম্পর্কিত আয়াত / hajj ayat in quran
হজ সম্পর্কে আয়াত
وَاِذۡ جَعَلۡنَا الۡبَیۡتَ مَثَابَۃً لِّلنَّاسِ وَاَمۡنًا ؕ وَاتَّخِذُوۡا مِنۡ مَّقَامِ اِبۡرٰہٖمَ مُصَلًّی ؕ وَعَہِدۡنَاۤ اِلٰۤی اِبۡرٰہٖمَ وَاِسۡمٰعِیۡلَ اَنۡ طَہِّرَا بَیۡتِیَ لِلطَّآئِفِیۡنَ وَالۡعٰکِفِیۡنَ وَالرُّکَّعِ السُّجُوۡدِ
এবং সেই সময়কে স্মরণ কর, যখন আমি কা‘বাগৃহকে মানব জাতির মিলনকেন্দ্র ও নিরাপত্তাস্থল করেছিলাম আর বলেছিলাম, ‘তোমরা মাকামে ইব্রাহীমকে সালাতের স্থানরূপে গ্রহণ কর।’ আর ইব্রাহীম ও ইস্মাঈলকে তাওয়াফকারী, ই‘তিকাফকারী, রুক‚‘ ও সিজ্দাকারীদের জন্যে আমার গৃহকে পবিত্র রাখতে আদেশ দিয়েছিলাম। —আল বাকারা - ১২৫
اِنَّ الصَّفَا وَالۡمَرۡوَۃَ مِنۡ شَعَآئِرِ اللّٰہِ ۚ فَمَنۡ حَجَّ الۡبَیۡتَ اَوِ اعۡتَمَرَ فَلَا جُنَاحَ عَلَیۡہِ اَنۡ یَّطَّوَّفَ بِہِمَا ؕ وَمَنۡ تَطَوَّعَ خَیۡرًا ۙ فَاِنَّ اللّٰہَ شَاکِرٌ عَلِیۡمٌ
নিশ্চয়ই সাফা ও মারওয়া আল্লাহ্ র নিদর্শনসমূহের অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং যে কেউ কা‘বাগৃহের হজ্জ কিংবা ‘উমরা সম্পন্ন করে এই দুইটির মধ্যে সা‘ঈ করলে তার কোন পাপ নেই আর কেউ স্বতঃস্ফূর্তভাবে সৎকাজ করলে আল্লাহ্ তো পুরস্কারদাতা, সর্বজ্ঞ। —আল বাকারা - ১৫৮
وَاَتِمُّوا الۡحَجَّ وَالۡعُمۡرَۃَ لِلّٰہِ ؕ فَاِنۡ اُحۡصِرۡتُمۡ فَمَا اسۡتَیۡسَرَ مِنَ الۡہَدۡیِ ۚ وَلَا تَحۡلِقُوۡا رُءُوۡسَکُمۡ حَتّٰی یَبۡلُغَ الۡہَدۡیُ مَحِلَّہٗ ؕ فَمَنۡ کَانَ مِنۡکُمۡ مَّرِیۡضًا اَوۡ بِہٖۤ اَذًی مِّنۡ رَّاۡسِہٖ فَفِدۡیَۃٌ مِّنۡ صِیَامٍ اَوۡ صَدَقَۃٍ اَوۡ نُسُکٍ ۚ فَاِذَاۤ اَمِنۡتُمۡ ٝ فَمَنۡ تَمَتَّعَ بِالۡعُمۡرَۃِ اِلَی الۡحَجِّ فَمَا اسۡتَیۡسَرَ مِنَ الۡہَدۡیِ ۚ فَمَنۡ لَّمۡ یَجِدۡ فَصِیَامُ ثَلٰثَۃِ اَیَّامٍ فِی الۡحَجِّ وَسَبۡعَۃٍ اِذَا رَجَعۡتُمۡ ؕ تِلۡکَ عَشَرَۃٌ کَامِلَۃٌ ؕ ذٰلِکَ لِمَنۡ لَّمۡ یَکُنۡ اَہۡلُہٗ حَاضِرِی الۡمَسۡجِدِ الۡحَرَامِ ؕ وَاتَّقُوا اللّٰہَ وَاعۡلَمُوۡۤا اَنَّ اللّٰہَ شَدِیۡدُ الۡعِقَابِ ٪
তোমরা আল্লাহ্ র উদ্দেশ্যে হজ্জ ও উমরা পূর্ণ কর, কিন্তু তোমরা যদি বাধাপ্রাপ্ত হও তবে সহজলভ্য কুরবানী কর। যে পর্যন্ত কুরবানীর পশু এর স্থানে না পৌঁছে তোমরা মস্তক মুণ্ডন কর না। তোমাদের মধ্যে যদি কেউ পীড়িত হয় কিংবা মাথায় ক্লেশ থাকে তবে সিয়াম কিংবা সাদাকা বা কুরবানীর মাধ্যমে এর ফিদ্য়া দিবে। যখন তোমরা নিরাপদ হবে তখন তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি হজ্জের প্রাক্কালে উমরা দিয়ে লাভবান হতে চায় সে সহজলভ্য কুরবানী করবে। কিন্তু যদি কেউ তা না পায় তবে তাকে হজ্জের সময় তিনদিন এবং বাড়ী ফেরার পর সাতদিন-এই পূর্ণ দশদিন সিয়াম পালন করতে হবে। এটা তাদের জন্যে, যাদের পরিজনবর্গ মসজিদুল হারামের বাসিন্দা নয়। আল্লাহ্কে ভয় কর এবং জেনে রাখ যে, নিশ্চয়ই আল্লাহ্ শাস্তি দানে কঠোর। —আল বাকারা - ১৯৬
اَلۡحَجُّ اَشۡہُرٌ مَّعۡلُوۡمٰتٌ ۚ فَمَنۡ فَرَضَ فِیۡہِنَّ الۡحَجَّ فَلَا رَفَثَ وَلَا فُسُوۡقَ ۙ وَلَا جِدَالَ فِی الۡحَجِّ ؕ وَمَا تَفۡعَلُوۡا مِنۡ خَیۡرٍ یَّعۡلَمۡہُ اللّٰہُ ؕؔ وَتَزَوَّدُوۡا فَاِنَّ خَیۡرَ الزَّادِ التَّقۡوٰی ۫ وَاتَّقُوۡنِ یٰۤاُولِی الۡاَلۡبَابِ
হজ্জ হয় সুনির্দিষ্ট মাসসমূহে। এরপর যে কেউ এ মাসগুলিতে হজ্জ করা স্থির করে তার জন্যে হজ্জের সময়ে স্ত্রী-সম্ভোগ, অন্যায় আচরণ ও কলহ-বিবাদ বিধেয় নয়। তোমরা উত্তম কাজের যা কিছু কর আল্লাহ্ তা জানেন এবং তোমরা পাথেয়ের ব্যবস্থা কর, আত্মসংযমই শ্রেষ্ঠ পাথেয়। হে বোধসম্পন্ন ব্যক্তিগণ! তোমরা আমাকে ভয় কর। —আল বাকারা - ১৯৭
لَیۡسَ عَلَیۡکُمۡ جُنَاحٌ اَنۡ تَبۡتَغُوۡا فَضۡلًا مِّنۡ رَّبِّکُمۡ ؕ فَاِذَاۤ اَفَضۡتُمۡ مِّنۡ عَرَفٰتٍ فَاذۡکُرُوا اللّٰہَ عِنۡدَ الۡمَشۡعَرِ الۡحَرَامِ ۪ وَاذۡکُرُوۡہُ کَمَا ہَدٰىکُمۡ ۚ وَاِنۡ کُنۡتُمۡ مِّنۡ قَبۡلِہٖ لَمِنَ الضَّآلِّیۡنَ
তোমাদের প্রতিপালকের অনুগ্রহ সন্ধান করাতে তোমাদের কোন পাপ নেই। যখন তোমরা ‘আরাফাত হতে ফিরে আসবে তখন মাশ‘আরুল হারামের নিকট পৌঁছে আল্লাহ্কে স্মরণ করবে এবং তিনি যেভাবে নির্দেশ দিয়েছেন ঠিক সেইভাবে স্মরণ করবে; যদিও ইতিপূর্বে তোমরা বিভ্রান্তদের অন্তর্ভুক্ত ছিলে। —আল বাকারা - ১৯৮
ثُمَّ اَفِیۡضُوۡا مِنۡ حَیۡثُ اَفَاضَ النَّاسُ وَاسۡتَغۡفِرُوا اللّٰہَ ؕ اِنَّ اللّٰہَ غَفُوۡرٌ رَّحِیۡمٌ
এরপর অন্যান্য লোক যেখান হতে ফিরে আসে তোমরাও সে স্থান হতে ফিরে আসবে। আর আল্লাহ্ র নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করবে, নিশ্চয়ই আল্লাহ্ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। —আল বাকারা - ১৯৯
فَاِذَا قَضَیۡتُمۡ مَّنَاسِکَکُمۡ فَاذۡکُرُوا اللّٰہَ کَذِکۡرِکُمۡ اٰبَآءَکُمۡ اَوۡ اَشَدَّ ذِکۡرًا ؕ فَمِنَ النَّاسِ مَنۡ یَّقُوۡلُ رَبَّنَاۤ اٰتِنَا فِی الدُّنۡیَا وَمَا لَہٗ فِی الۡاٰخِرَۃِ مِنۡ خَلَاقٍ
এরপর যখন তোমরা হজ্জের অনুষ্ঠানাদি সমাপ্ত করবে তখন আল্লাহ্কে এমনভাবে স্মরণ করবে যেমন তোমরা তোমাদের পিতৃপুরুষগণকে স্মরণ করতে, বা তার চেয়ে বেশী করে। মানুষের মধ্যে যারা বলে, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে ইহকালেই দাও’, বস্তুত পরকালে তাদের জন্যে কোন অংশ নেই। —আল বাকারা - ২০০
اِنَّ اَوَّلَ بَیۡتٍ وُّضِعَ لِلنَّاسِ لَلَّذِیۡ بِبَکَّۃَ مُبٰرَکًا وَّہُدًی لِّلۡعٰلَمِیۡنَ ۚ
নিশ্চয়ই মানবজাতির জন্যে সর্বপ্রথম যে গৃহ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল তা তো বাক্কায়, এটা বরকতময় ও বিশ্বজগতের দিশারী। —আল ইমরান - ৯৬
فِیۡہِ اٰیٰتٌۢ بَیِّنٰتٌ مَّقَامُ اِبۡرٰہِیۡمَ ۬ۚ وَمَنۡ دَخَلَہٗ کَانَ اٰمِنًا ؕ وَلِلّٰہِ عَلَی النَّاسِ حِجُّ الۡبَیۡتِ مَنِ اسۡتَطَاعَ اِلَیۡہِ سَبِیۡلًا ؕ وَمَنۡ کَفَرَ فَاِنَّ اللّٰہَ غَنِیٌّ عَنِ الۡعٰلَمِیۡنَ
এতে অনেক সুস্পষ্ট নিদর্শন আছে, যেমন মাকামে ইব্রাহীম। আর যে কেউ সেখানে প্রবেশ করে সে নিরাপদ। মানুষের মধ্যে যার সেখানে যাওয়ার সামর্থ্য আছে, আল্লাহ্ র উদ্দেশ্যে ঐ গৃহের হজ্জ করা তার অবশ্যকর্তব্য। আর কেউ প্রত্যাখ্যান করলে সে জেনে রাখুক, নিশ্চয়ই আল্লাহ্ বিশ্বজগতের মুখাপেক্ষী নন। —আল ইমরান - ৯৭
হজ সম্পর্কিত কোরআনের আয়াত
وَاِذۡ بَوَّاۡنَا لِاِبۡرٰہِیۡمَ مَکَانَ الۡبَیۡتِ اَنۡ لَّا تُشۡرِکۡ بِیۡ شَیۡئًا وَّطَہِّرۡ بَیۡتِیَ لِلطَّآئِفِیۡنَ وَالۡقَآئِمِیۡنَ وَالرُّکَّعِ السُّجُوۡدِ
এবং স্মরণ কর, যখন আমি ইব্রাহীমের জন্যে নির্ধারণ করে দিয়েছিলাম সেই গৃহের স্থান, তখন বলেছিলাম, ‘আমার সঙ্গে কোন শরীক স্থির কর না এবং আমার গৃহকে পবিত্র রেখ তাদের জন্যে যারা তাওয়াফ করে এবং যারা সালাতে দাঁড়ায়, রুক‚‘ করে ও সিজ্দা করে। —আল হাজ্জ্ব - ২৬
وَاَذِّنۡ فِی النَّاسِ بِالۡحَجِّ یَاۡتُوۡکَ رِجَالًا وَّعَلٰی کُلِّ ضَامِرٍ یَّاۡتِیۡنَ مِنۡ کُلِّ فَجٍّ عَمِیۡقٍ ۙ
এবং মানুষের নিকট হজ্জ-এর ঘোষণা করে দাও, এরা তোমার নিকট আসবে পদব্রজে ও সর্বপ্রকার ক্ষীণকায় উষ্ট্রের পিঠে, এরা আসবে দূর-দূরান্তর পথ অতিক্রম করে। —আল হাজ্জ্ব - ২৭
لِّیَشۡہَدُوۡا مَنَافِعَ لَہُمۡ وَیَذۡکُرُوا اسۡمَ اللّٰہِ فِیۡۤ اَیَّامٍ مَّعۡلُوۡمٰتٍ عَلٰی مَا رَزَقَہُمۡ مِّنۡۢ بَہِیۡمَۃِ الۡاَنۡعَامِ ۚ فَکُلُوۡا مِنۡہَا وَاَطۡعِمُوا الۡبَآئِسَ الۡفَقِیۡرَ ۫
যাতে তারা তাদের কল্যাণময় স্থানগুলিতে উপস্থিত হতে পারে এবং তিনি তাদেরকে চতুষ্পদ জন্তু হতে যা রিযিক হিসেবে দান করেছেন এর ওপর নির্দিষ্ট দিনগুলিতে আল্লাহ্ র নাম উচ্চারণ করতে পারে। এরপর তোমরা তা হতে আহার কর এবং দুস্থ, অভাবগ্রস্তকে আহার করাও। —আল হাজ্জ্ব - ২৮
ثُمَّ لۡیَقۡضُوۡا تَفَثَہُمۡ وَلۡیُوۡفُوۡا نُذُوۡرَہُمۡ وَلۡیَطَّوَّفُوۡا بِالۡبَیۡتِ الۡعَتِیۡقِ
এরপর তারা যেন তাদের অপরিচ্ছন্নতা দূর করে এবং তাদের মানত পূর্ণ করে এবং তাওয়াফ করে প্রাচীন গৃহের। —আল হাজ্জ্ব - ২
Tag: হজ সম্পর্কে কোরআনের আয়াত - হজ সম্পর্কিত আয়াত / hajj ayat in quran