হযরত আলী রাঃ বাণী | হযরত আলীর বাণী | হযরত আলী রাঃ এর উক্তি | hazrat ali ukti | hazrat ali bani

হযরত আলী রাঃ বাণী, হযরত আলীর বাণী, হযরত আলী রাঃ এর উক্তি, hazrat ali ukti, hazrat ali bani

হযরত আলী রাঃ বাণী | হযরত আলীর বাণী | হযরত আলী রাঃ এর উক্তি | hazrat ali ukti | hazrat ali bani

হযরত আলী (রা)  এর বানী বা উক্তি

"হযরত আলী (রাদিয়াল্লাহু আনহু) তার ছেলেকে উপদেশ দিয়েছিলেন,“হে আমার সন্তান! আল্লাহকে এমনভাবে ভয় করো যে সমগ্র মানবজাতির ভালো কাজের সমতূল্য সওয়াব নিয়েও যদি তুমি আল্লাহর সাথে সাক্ষাত করো তবু তিনি তা কবুল করবেন না; এবং আল্লাহর ব্যাপারে এমন আশাবাদী হও যে সকল মানুষের করা পাপকাজের সমপরিমাণ পাপ নিয়েও যদি তুমি আল্লাহর সাথে সাক্ষাত করো তবু তিনি তোমায় ক্ষমা করে দিবেন।” 


“আপনার গর্বকে ছুঁড়ে ফেলুন, দাম্ভিকতাকে দমিয়ে দিন আর আপনার কবরকে স্মরণ করুন”––– আলী ইবনে আবি তালিব (রাযিয়াল্লাহু আনহু)"

“আপনার দ্বারা নেক কাজ সাধিত হলে আল্লাহ তা’আলার প্রশংসা করুন, এবং যখন অসফল হবেন তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন।”— আলী ইবন আবু তালীব (রাদিয়াল্লাহু আনহু)"

“যে ব্যক্তি ধৈর্যধারণ করতে পারবে, সে কখনো সফলতা থেকে বঞ্চিত হবেনা।হয়তবা সফল হবার জন্য তার একটু বেশি সময় লাগতে পারে।”—– আলী ইবনে আবু তালিব (রাদিয়াল্লাহু আনহু)", 

“কল্যাণপ্রাপ্ত তো সেই ব্যক্তি যার নিজের পাপসমূহ তাকে অন্যদের পাপের দিকে অঙ্গুলি নির্দেশ থেকে বিরত রাখে।”— হযরত আলী (রাদিয়াল্লাহু আনহু)"


“সবচেয়ে সুখী ব্যক্তিই সেই যাকে আল্লাহ তা’আলা একজন পূণ্যবতী স্ত্রী দান করেছেন।”— আলী ইবনে আবু তালিব (রাদিয়াল্লাহু আনহু)"

“রেগে যাবার সময়ের এক মূহুর্তের ধৈর্য রক্ষা করে পরবর্তী সময়ের হাজার মূহুর্তের অনুশোচনা থেকে।”— হযরত আলী (রাদিয়াল্লাহু আনহু)",

“হৃদয় থাকা সকল মানুষের বোধ থাকে না, কান থাকা সকল মানুষই শুনতে পায় না, চোখ থাকা সকল মানুষই দেখতে পায় না।”— আলী ইবনে আবু তালিব (রাদিয়াল্লাহু আনহু)",

“যেসব পাপকাজ তোমরা গোপনে করে থাকো সেগুলোকে ভয় করো, কেননা সেসব পাপের সাক্ষী বিচারক স্বয়ং নিজেই।”— হযরত আলী (রা)",

“অতিরিক্ত সমালোচনা করবেন না। অতিরিক্ত সমালোচনা ঘৃণা এবং খারাপ চরিত্রের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়।”— হযরত আলী (রা)"


“সেই ব্যক্তিই সবচেয়ে জ্ঞানী ও প্রজ্ঞাবান যিনি পরম করুণাময় আল্লাহর দয়ার ব্যাপারে আশা ও আত্মবিশ্বাস না হারানোর জন্য মানুষকে উপদেশ দেন।”— হযরত আলী (রা)",

“জ্ঞানের মত সম্পদ আর নেই, অজ্ঞতার মতন দারিদ্র আর নেই।”— আলী (রাদিয়াল্লাহু আনহু)",

“ফুলের মতন হও, যে তাকে দলিত করে তাকেও সে সুগন্ধ বিলায়।”— আলী ইবনে আবু তালিব", 

“হে লেখক! তুমি যা লিখছ তার সবই একজন ফেরেশতা নজরদারী করছেন।তোমার লেখালেখিকে অর্থপূর্ণ করো কেননা অবশেষে একদিন সব লেখাই তোমার কাছে ফেরত আসবে এবং তুমি যা লিখেছ তার জন্য তোমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।”— হযরত আলী (রা)",

“কারো অধঃপতনে আনন্দ প্রকাশ করো না, কেননা ভবিষ্যত তোমার জন্য কী প্রস্তুত করে রেখেছে সে সম্পর্কে তোমার কোন জ্ঞানই নেই।”— হযরত আলী (রা)"


“জ্ঞানের জন্য যথেষ্ট সম্মানজনক একটি বিষয় হলো, যারা তেমন একটা জ্ঞানার্জন করেননি, তারাও তা দাবী করেন এবং তাদেরকে যখন জ্ঞানী বলে সম্বোধন করা হয়, তারা আনন্দিত হন। অন্যদিকে অজ্ঞতার জন্য এটাই যথেষ্ট লজ্জাজনক যে, একজন অজ্ঞ লোকও তাকে অজ্ঞ বলে সম্বোধন করাকে ঘৃণা করে।”— আলী ইবনে আবু তালিব (রাদিয়াল্লাহু আনহু)"


হযরত আলী (রাঃ) এর বিজ্ঞচিত উক্তি ও বানী

“বেশী হুশিয়ারী খারাপ ধারণার জন্ম দেয়।” (ইবনে হাব্বান)

“ভালোবাসা দূরের মানুষকে কাছে টেনে নেয়, আর শত্রুতা আপনকে পর করে দেয়। হাত শরীরের সবচেয়ে নিকটবর্তী অঙ্গ, তবে হাতে পচন ধরলে তা কেটে শরীর থেকে পৃথক করে দিতে হয়।” (আবু নুয়াঈম)


“আমার পাঁচটি কথা মনে রাখবে –(১) মানুষকে গুনাহ ছাড়া অন্য কিছু দিয়ে ভয় দেখাবে না, (২) আল্লাহ ছাড়া কারো কাছে কোন প্রত্যাশা করবে না, (৩) অজানা বিষয়ে শিক্ষা লাভের জন্য লজ্জাবোধ করবে না, (৪) কোনো আলেম ব্যক্তি তার অজানা মাসয়ালা জেনে নিতে ইতস্তত করবে না, আর কেউ যদি অজ্ঞাত মাসয়ালা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে তাহলে বলবে – এ বিষয়ে আল্লাহ তাআলা সবচেয়ে বেশী জানেন, (৫) ধৈর্য আর বিশ্বাসের দৃষ্টান্ত হলো যথাক্রমে মাথা ও শরীরের অনুরূপ; যখন ধৈর্য হারিয়ে ফেলবে, তখন বিশ্বাসের মধ্যে কমতি আসবে, আর মাথা চলে গেলে শরীরের কি মূল্য ?” (ইবনে মানসুর)

“ফকীহে কামেল (শরীয়তের আইন বিশেষজ্ঞ) তো সে-ই, যিনি লোকদের আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ করেন না,লোকদের গুনাহ করার অবকাশ দেন না, আল্লাহর শাস্তির কথা ভুলে যান না এবং কুরআন শরীফের প্রতি লোকদের বিরক্তি জন্ম দেন না। যে জ্ঞানকে ভালোভাবে অনুধাবন করবে না, সে জ্ঞানের বাতায়ন উন্মোচিত করতে পারবে না; আর যে চিন্তার জগতে বিচরণ করে না, তার সামনে লেখাপড়ার তোরণ অবারিত হয় না।” (আবুস সারীস)


“সেই ব্যক্তি আমার নিকট অধিক প্রিয়তম,যে আমাকে ঐ প্রশ্ন করবে যা আমার জানা নেই; আর সে প্রেক্ষিতে আমি বলবো – আল্লাহ তাআলাই ভালো জানেন।” (ইবনে আসাকির)

“যে লোকদের সাথে ন্যায় ও সততাপুর্ণ আচরণ করতে চায়, সে যেন নিজের জন্য যা কল্যাণকর তা অপরের জন্য ভালো মনে করে।” (ইবনে আসাকির)

“সাতটি বিষয় শয়তানের পক্ষ থেকে সৃষ্ট –(১) অত্যাধিক ক্রোধ, (২) বেশী বেশী হাঁচি দেওয়া, (৩) ঘনঘন হাই তোলা, (৪) অতিরিক্ত বমন করা, (৫) গ্রীস্মকালে নাক দিয়ে রক্ত ক্ষরণ, (৬) অতিরিক্ত প্রস্রাব-পায়খানা হওয়া, (৭) আল্লাহ তাআলাকে স্বরণের সময় নিদ্রাচ্ছন্ন হওয়া।


“ডালিমের ভেতরের দানার সাথে যুক্ত জালীটি খেয়ে ফেলবে, কারন তা পাকস্থলির জন্য শক্তিদায়ক।” (আবদুল্লাহ বিন আহমাদ)

“এমন যুগ আসবে, যখন গোলামের চেয়েও মুমিনের মর্যাদা কম হবে।” (সাদ ইবনে মানসুর)

“তুমি আলেমকে শোনাবে অথবা শুনবে -উভয়টি সমান।” (হাকিম,তারীখ)

আলী (রাঃ) এর খিলাফতকালে হুযাইফা বিন ইয়ামান,যুবায়ের বিন আওয়াম,তালহা,যায়েদ বিন সুহান,সালমান ফারফী,হিন্দ বিন আবু হালা,ওয়াইস ক্বারনী,জনাব বিন আল আরত,আম্মার বিন ইয়াসার,সহল বিন হানীফ,তামীম দারমী,খাওয়াত বিন জাবীর,শারজীল বিন আস—সমত,আবু মায়াসারা আল বদরী,সাওফান বিন উসাল,আমর বিন আবনাস,হিশাম বিন হাকীম,রাসূলুল্লাহ’র (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মুক্তদাস আবু রাফে প্রমুখ সাহাবায়ে কেরাম (রাঃ) ইন্তেকাল করেন।

Tag: হযরত আলী রাঃ বাণী, হযরত আলীর বাণী, হযরত আলী রাঃ এর উক্তি, hazrat ali ukti, hazrat ali bani
Next Post Previous Post