মুসা ও খিজির | মুসা ও খিজিরের ঘটনা | মুসা আ: ও খিজির আঃ এর কাহিনী | The story of Musa A. and Khizar A.

< h2 style="text-align: left;">মুসা ও খিজির | মুসা ও খিজিরের ঘটনা | মুসা আ: ও খিজির আঃ এর কাহিনী | The story of Musa A. and Khizar A.

মুসা ও খিজির | মুসা ও খিজিরের ঘটনা | মুসা আ: ও খিজির আঃ এর কাহিনী | The story of Musa A. and Khizar A.

মুসা ও খিজির | মুসা ও খিজিরের ঘটনা | মুসা আ: ও খিজির আঃ এর কাহিনী | The story of Musa A. and Khizar A.


হযরত মুসা আ. ও খিযির আ: ঘটনা

সহীহ বুখারী, মুসলিম, নাসাঈ ও জামে তিরমিযী গ্রন্থ সমূহে হযরত উবাই ইবনে কা'ব রা. থেকে বর্ণিত আছে, রাসূল এরশাদ করেন, একদিন হযরত মুসা আ. বনী ইস্রাঈলের এক সভায় ভাষণ দিচ্ছিলেন। জৈনক ব্যক্তি প্রশ্ন করল যে, মানুষের মধ্যে বড় জ্ঞানী কে? হযরত মুসা আ. ছিলেন ওহীর ধারক-বাহক। যিনি এরূপ হন তিনিই সমকালের বড় জ্ঞানী হয়ে থাকেন। সে মতে তিনি বলেছিলেন, আমিই সবার চেয়ে বড় জ্ঞানী। এ উত্তর আল্লাহর পছন্দ হলাে না। একজন জলিলুল কদর নবী হিসাবে এবং আল্লাহর প্রতি আদব রক্ষার্থে বিষয়টি আল্লাহর উপর ছেড়ে দেওয়া উচিত ছিল। তাঁর বলা উচিৎ ছিল- এ বিষয়ে আল্লাহ তায়ালাই অধিক জ্ঞাত।


কোন কোন বর্ণনায় এসেছে, তিনি বলেছিলেন সবচেয়ে বড় জ্ঞানী কে, তা আমি জানি না। তখন আল্লাহর পক্ষ থেকে ওহী আসল যে, দুই সমুদ্রের সঙ্গমস্থলে অবস্থানকারী আমার এক বান্দা আপনার চেয়েও অধিক জ্ঞানী। একথা শুনে হযরত মুসা আ. আবেদন করলেন, তাহলে তাে জ্ঞানার্জনের উদ্দেশ্যে আমাকে সফর করে তাঁর কাছে যাওয়া উচিত। হে আল্লাহ! আমাকে তাঁর ঠিকানা বলে দিন। আল্লাহ্ বললেন, থলের মধ্যে পাথেয় হিসাবে একটি মাছ নিয়ে নিন আর দুই সমুদ্রের সঙ্গম স্থলের দিকে ভ্রমণ করুন। যেখানে পৌঁছার পর মাছটি নিরুদ্দেশ হয়ে যাবে, সেখানেই আমার এই বান্দার সাক্ষাত পাবেন। হযরত মুসা। আ. আল্লাহর নির্দেশ মতে থলের মধ্যে একটি ভূনা মাছ নিয়ে রওয়ানা হলেন। সফরসঙ্গী হিসাবে তার খাদেম হযরত ইউশা ইবনে নূনকেও সঙ্গে নিলেন। পথিমধ্যে একটি প্রস্তর খণ্ডের উপর মাথা রেখে তারা ঘুমিয়ে পড়লেন।


এখানে হঠাৎ মাছটি নড়াচড়া করতে লাগল এবং থলে থেকে বের হয়ে সমুদ্রে চলে।গেল। মাছটি সমুদ্রের যে পথ দিয়ে চলে গেল, আল্লাহ তায়ালা সে পথে পানির স্রোত বন্ধ করে দিলেন। ফলে সেখানে পানির মধ্যে একটি সুড়ঙ্গের ন্যায় হয়ে গেল। হযরত ইউশা ইবনে নূন এই আশ্চর্যজনক ঘটনা নিরীক্ষণ করছিল। এ সময় মুসা আ. নিদ্রিত ছিলেন। যখন জাগ্রত হলেন তখন ইউশা ইবনে নূন মাছের এই আশ্চর্যজনক ঘটনা মুসা আ-কে বলতে ভুলে গেলেন এবং সে স্থান থেকে রওয়ানা হয়ে গেলেন। পূর্ণ একদিন একরাত ভ্রমণ করার পর সকাল বেলায় মুসা আ. খাদেমকে বললেন, আমাদের নাস্তা আন, এই সফরে যথেষ্ট ক্লান্ত হয়ে পড়েছি। তখন ইউশা ইবনে নূনের মাছের ঘটনা মনে পড়ল। তিনি ভুলে যাওয়ার ওযর পেশ করে বললেন, শয়তান আমাকে ভুলিয়ে দিয়েছিল। ইউশা ইবনে নূন মাছের আশ্চার্যজনকভাবে চলে যাওয়ার কথা বললে মুসা আ. বললেন, সেটিই তাে আমাদের লক্ষ ও গন্তব্যস্থল। তখন তারা তাদের পদচিহ্ন অনুসরণ করে পূর্বের পথ ধরে সে স্থানটির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলেন এবং প্রস্তর খণ্ডের পাশে পৌছে দেখলেন, এক ব্যক্তি আপাদমস্তক চাদর আবৃত অবস্থায় শুয়ে আছেন। মুসা আ. সালাম করলে খিযির আ. বললেন, এই নির্জন প্রান্তরে সালাম দিল কে? মুসা আ. বললেন, আমি মুসা। খিযির আ. প্রশ্ন করলেন, বনী ইস্রাঈলের মুসা! তিনি উত্তর দিলেন, হ্যা, আমিই বনী ইস্রাঈলের মুসা। আমি আপনার কাছ থেকে সেই বিশেষ জ্ঞান অর্জন করতে এসেছি, যা আল্লাহ্ তায়ালা আপনাকে শিক্ষা দিয়েছেন।


হযরত খিযির আ. বললেন, আপনি আমার সাথে ধৈৰ্য্যধারণ করতে পারবেন না। আল্লাহ্ আমাকে এমন জ্ঞান (তাকভীনী ইলম) দান করেছেন, যা আপনার কাছে নেই, পক্ষান্তরে আপনাকে এমন জ্ঞান (তাশরীয়ী ইলম) দান করেছেন, যা আমার কাছে নেই। মুসা আ. বললেন, ইনশাআল্লাহ, আপনি আমাকে ধৈর্যশীল পাবেন। আমি আপনার কোন কাজে বিরােধিতা করবাে না।


হযরত খিযির আ. বললেন, আপনি যদি আমার সাথে থাকতেই চান তবে, কোন বিষয়ে আমাকে প্রশ্ন করবেন না, যে পর্যন্ত না আমি নিজে এর রহস্য বলে দেই। হযরত মুসা আ. শর্ত মেনে নেয়ার পর উভয়ে সমুদ্রের পাড় ধরে চলতে লাগলেন। ঘটনাক্রমে একটি নৌকা আসলে তারা সমুদ্র পার হওয়ার মনস্থ করলেন। মাঝিরা হযরত খিযির আ.কে চিনে ফেলল এবং কোন পারিশ্রমিক ছাড়াই তাদেরকে নৌকায় তুলে নিল। নৌকায় চড়েই খিযির আ. কুড়ালের সাহায্যে নৌকার একটি তখৃত তুলে ফেললেন অর্থাৎ নৌকা ছিদ্র করে দিলেন। এতে হযরত মুসা আ. বললেন, তারা কোন পারিশ্রমিক ছাড়াই আমাদেরকে নৌকায় তুলে নিয়েছে। অথচ আপনি এরই প্রতিদানে তাদের নৌকা ভেসে।দিলেন যাতে সবাই ডুবে যায়? এটি বড় মন্দকাজ করলেন আপনি। খিযির আ,।বললেন, আমি আগেই বলেছিলাম, আপনি আমার সাথে ধৈর্যধারণ করতে পারবেন না। হযরত মুসা আ, ওযর পেশ করে বললেন, আমি আমার ওয়াদার। কথা ভুলে গিয়েছিলাম। আমার উপর রাগ করবেন না।


রাসূল : এ ঘটনা বর্ণনা করে বলেন, হযরত মুসা আ.'র প্রথম আপত্তি ভুলক্রমে, দ্বিতীয় আপত্তি। শর্ত হিসেবে এবং তৃতীয় আপত্তি ইচ্ছাক্রমে হয়েছিল। ইতিমধ্যে একটি পাখি এসে নৌকার একপ্রান্তে বসে সমুদ্র থেকে এক চঞ্চু পানি ঠোটে তুলে নিল। খিযির আ. হযরত মুসা আ.কে বললেন, আমার এবং আপনার জ্ঞান উভয়ে মিলে আল্লাহ তায়ালার জ্ঞানের মােকাবিলায় এমন তুলনাও হয়না, যেমনটি এই বিশাল। সমুদ্রের পানির সাথে এই পাখীর এক চঞ্চু পানি।।অত:পর তারা নৌকা থেকে নেমে সমুদ্রের কূল ধরে চলতে লাগলেন।


হঠাৎ হযরত খিযির আ. একটি সুন্দর বালককে অন্যান্য বালকের সাথে খেলা করতে দেখলেন। খিযির আ. দেয়ালের আড়ালে নিয়ে নিজ হাতে বালকটির মস্তক তার দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিলেন। ফলে বালকটি মরে গেল। হযরত মুসা আ,।বললেন, আপনি একটি নিস্পাপ শিশুকে বিনা অপরাধে হত্যা করেছেন। এটি মস্তবড় পাপ । প্রথম ঘটনা নৌকা মেরামত করলে ঠিক হয়ে যায় কিন্তু এটিতাে।আরাে বড় সমস্যা। কারণ মৃত ব্যক্তিকে তাে জীবিত করা যায়না। খিযির আ.।বললেন, আমি তাে পূর্বেই বলেছিলাম, আপনি আমার সাথে ধৈৰ্য্য ধরতে। পারবেন না। হযরত মুসা আ. দেখলেন যে, এ ব্যাপারটি পূর্বাপেক্ষা গুরুতর।।তাই বললেন, এরপর যদি কোন প্রশ্ন করি, তবে আপনি আমাকে পৃথক করে।দেবেন। আমার ওযর চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে।


অত:পর পুনরায় চলতে চলতে এক গ্রাম দিয়ে যাওয়ার সময় তারা। গ্রামবাসীর কাছে কিছু খাবার চাইলেন। কিন্তু গ্রাম বাসীরা খাবার দিতে অস্বীকার করে দিল। হযরত খিযির আ, এই গ্রামে একটি প্রাচীর পতনােন্মুখ দেখে নিজ হাতে তিনি প্রাচীরটি সােজা করে দিলেন। হযরত মুসা আ. অবাক হয়ে বললেন, আমরা তাদের কাছে সামান্য খাবার চাইলে তারা দিতে অস্বীকার করল অথচ আপনি তাদের এত বড় কাজ বিনা পরিশ্রমে করে দিলেন? ইচ্ছা করলে এর পারিশ্রমিক এদের কাছ থেকে আদায় করে নিতে পারতেন। খিযির আ. বললেন, এখন শর্ত পূরণ হয়ে গেছে, এটাই আমার ও আপনার মধ্যে বিচ্ছেদের সময়। এরপর হযরত খিযির আ, উপরােক্ত ঘটনায়ের রহস্য বর্ণনা করলেন হযরত মুসা আ.'র নিকট।


রাসূল সাঃ এরশাদ করেন, আল্লাহ তায়ালা আমার ভাই মুসা আ.'র উপর রহম করুন, যদি তিনি এতটুকু ধৈর্যধারণ করতেন, তবে।স্বয়ং আল্লাহ তায়ালাই এগুলাের রহস্য বর্ণনা করে দিতেন। প্রথম ঘটনার রহস্য হযরত খিযির আ. যে নৌকাটি ছিদ্র করে দিয়েছিলেন, তা ছিল এমন দরিদ্রদের, যারা ছিল দশ ভাই। তন্মধ্যে পাঁচ ভাই ছিল বিকলাঙ্গ। বাকী পাঁচ জন মেহনত-মজুরী করে সকলের জীবিকার ব্যবস্থা করত, নদীতে নৌকা চালিয়ে। ভাড়া উপার্জন করাই ছিল তাদের মজুরী ।।নৌকাটি যেদিকে যাচ্ছিল, সেখানে একজন যালিম বাদশাহ এই পথে চলাচলকারী সব নৌকা ছিনিয়ে নিত। এই বাদশাহর নাম হলাে জালন্দী ইবনে কাকার। সে স্পেনের বস্তি কর্ডোবার বাদশাহ ছিল। খিযির আ, নৌকার একটি।তক্তা উপড়ে দেন, যাতে যালিম বাদশাহ'র লােকেরা নৌকা ভাঙ্গা দেখে ছিনিয়ে নেয় বরং ছেড়ে দেয় এবং দরিদ্ররা বিপদের হাত থেকে বেঁচে যায়। তবে মু'জিযার কারণে হােক কিংবা খিযির আ, কতৃক কিছুটা মেরামতের কারণে হােক নৌকায় কোন পানি প্রবেশ করেনি। ইমাম বগভী র.'র বর্ণনা মতে এই তক্তার।স্থানে হযরত খিযির আ. একটি কাঁচ লাগিয়ে দেন, যা দিয়ে ছিদ্র দেখা গেলেও পানি প্রবেশ করেনি।


দ্বিতীয় ঘটনার রহস্য:
হযরত খিযির আ. যে বালকটিকে হত্যা করেছিলেন, তার রহস্য হলাে-।তার প্রকৃতিতে কুফর ও পিতা-মাতার অবাধ্যতা নিহিত ছিল। অর্থাৎ সে বড় হয়ে।কুফুরী করবে আর পিতা-মাতাকে কষ্ট দেবে। অথচ তার পিতা-মাতা ছিল।সৎকর্মপরায়ন লােক । খিযির আ. ওহীর মাধ্যমে অবহিত হলেন যে, সে বড় হয়ে সৎকর্মপরায়ন পিতা-মাতাকে বিব্রত করবে এবং কষ্ট দেবে। সে কুফুরীতে লিপ্ত।হয়ে পিতা-মাতার জন্য ফিত্না হয়ে দাঁড়াবে এবং তার ভালবাসায় পিতা-মাতার ঈমানও বিপন্ন হয়ে পড়বে। তাই তিনি তাকে হত্যা করলেন। তিনি আরাে ইচ্ছে।করলেন যে, আল্লাহ্ তায়ালা এই পিতা-মাতাকে এ ছেলের পরিবর্তে তার চেয়ে।উত্তম সন্তান দান করুক, যার চরিত্র হবে পবিত্র এবং পিতা-মাতার হক আদায়।করবে। পরবর্তীতে আল্লাহ তায়ালা সেই পিতা-মাতাকে একজন সচ্চরিত্রবান কন্যা সন্তান দান করেন যার গর্ভে দু'জন নবী জন্মগ্রহণ করেন। কোন কোন বর্ণনায় আছে, ওই নেককার কন্যা সন্তান একজন নবীর বিবাহাধীন হন, যার।গর্ভে সত্তরজন নবী হয়েছে। আর ছেলেটির নাম ‘যায়সূরা মায়ের নাম ছিল।সাহওয়া এবং পিতার নাম ছিল 'যােবায়ের। হযরত মুসা আ, হযরত খিযির আ.'র সাথে নিস্পাপ ছেলে হত্যার ব্যাপারে। বাড়াবাড়ি করলে হযরত খিযির আ. ছেলের গর্দানে চামড়া তুলে মহরাজিত লেখা দেখালেন যে, “এ কাফের, কখনাে ঈমান আনবেনা।' তবে এই ঘটনার উপর অনুমান বা ভিত্তি করে কোন কাফির বা পাপী। ব্যক্তিকে হত্যা করা কারাে জন্যে জায়েয নয়। এটা কেবল হযরত খিযির আর জন্য বিশেষ কারণে বৈধ ছিল।


তৃতীয় ঘটনার রহস্য:
প্রাচীরটি ছিল ইনতাকীয়া নগরের দু’জন ইয়াতীম ছেলের। যাদের নাম হলাে ‘আহরাম' ও 'হারাম'। তাদের পিতা ছিল সৎকর্মপরায়ন। তারা বড় হয়ে মীরাসী সম্পত্তি গ্রহণ করার নিমিত্তে ওই প্রাচীরের নীচে স্বর্ণ-রৌপ্যের গুপ্তধন রক্ষিত করে রেখেছিল। এই প্রাচীরের দেয়াল ভেঙ্গে পড়ে গেলে তা উন্মুক্ত হয়ে যাবে আর লােকেরা লুটে নিয়ে। তাই আল্লাহ তায়ালা হযরত খিযির আর মাধ্যমে তা সুরক্ষার ব্যবস্থা করেন। উক্ত আয়াত দ্বারা কিয়ামত দিবস পর্যন্ত ইনতাকীয়া বাসীগণ অতিথি পরায়ন নয় বলে বদনামীর ভাগী হয়েছে। তাফসীরে রূহুল বয়ানে তাফসীরে কবীরের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে যে, এ আয়াত নাযিল হবার পর ইনতাকীয়া বাসীগণ রাসূল ও'র দরবারে বহু স্বর্ণ আনলাে আর আরয করল, হযূর! এই স্বর্ণগুলাে কবুল করুন এবং কুরআনে বর্ণিত _ (যার অর্থ ইনতাকীয়া বাসীরা মেহেমানদারী করতে অস্বীকৃতি জানাল) এর ৩ অক্ষরকে ৩ বানিয়ে করে দিন। যাতে এর অর্থ হয়- ইনতাকীয়া বাসীগণ আতিথ্য নিয়ে এসেছিল। এতে আমাদের বদনামী মুছে যাবে। কিন্তু তাদের আবেদন নামঞ্জুর হলাে আর রাসূল
ও এরশাদ করলেন এটা আল্লাহর কালামের বিকৃতি সাধনের শামিল। উক্ত ঘটনা থেকে প্রতীয়মান হয় যে, কোন সৎ লােকের কারণে তার সন্তানরা এবং আত্মীয় স্বজনরাও উপকৃত হয়। যেমন- নেক্কার পিতার উসিলায় ইয়াতীম।নাবালেগের সম্পদ আল্লাহ তায়ালা খিযির আ.'র মাধ্যমে রক্ষা করলেন। হযরত মুহাম্মদ ইবনে মুনকাদির র. বলেন, এক বান্দার সৎকর্মপরায়নতার কারণে আল্লাহ তায়ালা তার পরবর্তী সন্তান-সন্ততি, বংশধর ও প্রতিবেশীদের রক্ষা করেন। হযরত শিবলী র. বলতেন, আমি এই শহর এবং সমগ্র এলাকার জন্যে শান্তির কারণ, তার ওফাতের পর তার দাফন সমাপ্ত হওয়া মাত্র দায়লামের কাফিররা। দাজলা নদী পার হয়ে আক্রমণ করে বাগদাদ নগরী দখল করে নেয়।



তখন সবাই বলাবলি করতে থাকে যে, আমাদের উপর দ্বিগুণ বিপদ চেপে বসেছে। অর্থাৎ একটি হ্যরত শিবলী র'র ওফাত ও অপরটি কাফিরদের হাতে বাগদাদের পতন অত:পর হযরত খিযির আ, মুসা আ.কে বললেন, আর এসব কিছু আমি নিজ থেকে করিনি। এটা হচ্ছে ব্যাখ্যা ওই সব বিষয়ের, যেগুলাের উপর আপনার ধৈর্যধারণ করা সম্ভবপর হয়নি। একথা বলে হযরত খিযির আ. নিম্নলিখিত উপদেশগুলাে দিয়ে হযরত মুসা আ.কে বিদায় দেন। ১. আপনি সৃষ্টির হিতকাঙ্খী হােন, ক্ষতিকারক হবেন না। ২. সর্বদা হাসিমুখে থাকবেন, চেহারা কুঞ্চিৎ করে রাখবেন না। ৩, মানুষের তােষামােদ করবেন না। ৪. বিনা কারণে কোথাও যাবেন না। ৫. বেশী হাসবেন না। ৬, কোন গুনাহগারকে তাওবা করার পর লজ্জা দেবেন না। ৭, সব সময় নিজের ভুলের জন্য কান্নাকাটি করুন। ৮. আজকের কাজ আগামী কালের জন্য রেখে দেবেন না । ৯. আখিরাতের জন্য চিন্তা করুন।
Next Post Previous Post